আহলে বাইত (আ.) বার্তা সংস্থা (আবনা): আল্লাহ্র রহমতের বর্ষণময় রাজবুল-মুরাজ্জাব মাস আসছে।
এটি এমন এক মহিমান্বিত মাস, যা অগণিত নেয়ামত ও কল্যাণে পরিপূর্ণ—সর্বশক্তিমান আল্লাহ্র পক্ষ থেকে সমস্ত বান্দাদের জন্য, তবে মুশরিক ও ধর্মে নবউদ্ভাবনকারীদের (বিদ‘আতকারীদের) জন্য নয়।
আসুন সবাই আশাবাদী হই এবং প্রতীক্ষা করি এই মহান, বরকতময় মাসের আগমনের জন্য—যে মাসে আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা তাঁর সীমাহীন রহমত বর্ষণ করবেন।
মুশরিক ও বিদ‘আতকারীদের মুক্তি পেতে, ঐই গুরুতর পাপ থেকে তাওবা করে, তারপর দু’আ করতে হবে; যাতে আল্লাহ্র অগণিত বরকত ও রহমত তাদের প্রতিও বর্ষিত হয়।
বিহারুল আনওয়ার গ্রন্থে বর্ণিত হয়েছে—যখন রজব মাস কাছাকাছি আসতো, রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া সাল্লাম) মুসলমানদের আহ্বান করতেন এবং তাঁদের উদ্দেশে খুতবা প্রদান করতেন:
“ثمّ قال: أيّها المسلمونَ، قد أظَلَّكُم شَهرٌ عظيمٌ مُبارَكٌ ، و هو شَهرُ الأصَبِّ ، يَصُبُّ فيهِ الرحمَةَ عَلى مَن عَبَدَهُ إلاّ عَبدا مُشرِكا أو مُظهِرَ بِدعَةٍ في الإسلامِ”
তিনি বলতেন: “হে মুসলমানগণ! তোমাদের ওপর এক মহান ও বরকতময় মাস ছায়া ফেলেছে। এটি সেই ‘বর্ষণময় মাস’—যেখানে আল্লাহ্ তাঁর রহমত বর্ষণ করেন তাঁর ইবাদতকারীদের ওপর, তবে সেই বান্দার ওপর নয় যে মুশরিক বা ইসলামে বিদ‘আত প্রবর্তনকারী।”(১)
জনসাধারণের প্রতি আহ্বান: হে জনগণ! দেশ-বিদেশের আলেম ও দ্বীনি প্রচারকদের কাছে আবেদন করুন—তারা যেন এই আলোকোজ্জ্বল রজব মাসের ফজিলত, তাৎপর্য ও আমলসমূহ আপনাদের সামনে ব্যাখ্যা করেন ও তুলে ধরেন,
যেমন নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া সাল্লাম এই মাসের মর্যাদা ও মহত্ত্ব সম্পর্কে মানুষের উদ্দেশে খুতবা প্রদান করেছিলেন।
হে মুসলমানগণ! যত বেশি আমরা এই মাসের গুরুত্ব ও ফজিলত সম্পর্কে জানব, তত বেশি উৎসাহ ও আন্তরিকতা আসবে আল্লাহ্র ইবাদত, আত্মশুদ্ধি এবং বরকতের প্রাপ্তির পথে। এই সুযোগ যেন আমরা হাতছাড়া না করি।
হামিদরেযা রেযায়ী
২৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরী
২৯ আযার ১৪০৪ شمسی (ইরানী ক্যালেন্ডার)
সূত্র:
(১) হাদিসনেট তথ্যভান্ডার থেকে উদ্ধৃত — বিহারুল আনওয়ার, খণ্ড ৯৭, পৃষ্ঠা ৪৭, হাদিস ৩৩; উদ্ধৃতি: আন-নাওয়াদির আল-রাওয়ান্দি এবং মিযানুল হিকমাহ, খণ্ড ৪, পৃষ্ঠা ৩৯৭।
Your Comment